বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীরের বিদেশযাত্রার ওপর মঙ্গলবার নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ঢাকার একটি আদালত। তবে এই নিষেধাজ্ঞার আগের রাতেই সায়েম সোবহান দেশছেড়ে চলে গেছেন বলে জানা গেছে।শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এভিয়েশন সিকিউরিটি ও পুলিশ কর্মকর্তাদের বরাতে জানা গেছে, সায়েম সোবহান আনভীর সোমবার সন্ধ্যা ৭:১০ এর ফ্লাইটে দেশ ত্যাগ করেছেন। তবে তিনি কোন দেশে গেছেন তা জানা যায়নি।ওই তরুণীল লাশ উদ্ধারের পর একটি অডিওক্লিপ ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। ফেসবুক ব্যবহারকারীদের দাবি, এই অডিওতে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় করে দুজন- মারা যাওয়া তরুণী মুসারাত জাহান মুনিয়া ও সায়েম সোবহান। ফাঁস হওয়া অডিওক্লিপে পুরুষ কণ্ঠে দুবাই যাওয়ার কথা বলতে শোনা যায়।ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপকমিশনার (প্রসিকিউশন) জাফর হোসেন জানান, মঙ্গলবার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে পুলিশের আবেদন মঞ্জুর করে আদালত সায়েম সোবহানের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।
পাশপাশি ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষকেও সতর্ক থাকতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। এর আগে, রাজধানীর গুলশানের একটি অভিজাত ফ্ল্যাট থেকে মুসারাত জাহান মুনিয়ার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তিনি কুমিল্লার মনোহরপুরের প্রয়াত শফিকুর রহমানের মেয়ে। মুনিয়া রাজধানীর একটি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এ ঘটনায় ৩০৬ ধারায় আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ এনে গুলশান থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। মামলায় বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীরের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে।
নিহতের বোনের অভিযোগ,মুনিয়ার সাথে সায়েম সোবহান আনভীরের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ইফতার পার্টির ছবি শেয়ার করা নিয়ে তাদের মধ্যে বিবাদ সৃষ্টি হয়।
এদিকে সায়েম সোবহান আনভীরের সাথে যোগাযোগ করা হলে তার দুটি ফোন নম্বরই বন্ধ পাওয়া যায়। বসুন্ধরা গ্রুপের একজন ঊর্ধতন কর্মকর্তা জানান, আনভীর বর্তমানে দুবাইতে অবস্থান করছেন।
এ ব্যাপারে বসুন্ধরা এমডির বাড়িতে,বসুন্ধরা গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা আবু তৈয়ব এবং আনভীরের ব্যক্তিগত সচিব মাকসুদের নম্বরেও ফোন দেন। কিন্তু এদের কেউই সকালে ফোন ধরেননি। সূত্র: দ্যা বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড